শ্রমের মর্যাদা রচনা - স্বদেশ প্রেম রচনা জেনে নিন বিস্তারিত

প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা জানবো শ্রমিকের মর্যাদা রচনা সম্পর্কে এবং স্বদেশ প্রেম রচনা সম্পর্কে। তাই আপনি যদি শ্রমের মর্যাদা রচনা ও স্বদেশপ্রেম রচনা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি শ্রমিকের মর্যাদা রচনা ও স্বদেশ প্রেম রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখে নেই শ্রমিকের মর্যাদা রচনা ও স্বদেশ প্রেম রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত। 

শ্রমের মর্যাদা রচনা - স্বদেশ প্রেম রচনা জেনে নিন বিস্তারিত

সূচি পত্র

শ্রমের মর্যাদা রচনা

পরিশ্রমের মাধ্যমে মানুষ দিন দিন নিজেকে বদলে চলেছে অন্য প্রাণীর থেকে এবংপরিশ্রার মাধ্যমে আরো অপরূপ সৌন্দর্য হয়ে এসেছে আমাদের পৃথিবী। বদলে গেছে হাজারো অভাগা মানুষের ভাগ্য। এক কথায় বলা যায় মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অগ্রগতি ও সফলতার পিছনে সবচেয়ে বড় বহিঃপ্রকাশ পায় পরিশ্রমের বা শ্রমের মর্যাদার রচনা ।

শ্রম কীঃ শ্রমের মূল শাখা কান্ড হচ্ছে পরিশ্রম বা দৈনিক খাটনি। মানুষ জীবিকা নির্ধারণের জন্য যেসব কষ্ট করে থাকে সেগুলো মূলত শ্রম এবং অর্থ উপার্জনের জন্য যেগুলো পরিশ্রম করে থাকে সেগুলোকে মূলত শ্রম বলে। আরে পরিশ্রমে দাঁড়ায় পৃথিবী হয়ে উঠেছে মানব সভ্যতার বিজয় স্তম্ভ। 

শ্রমের শ্রেণীবিভাগঃ বলতে গেলে শ্রম মূলত দুইটি বিভাগে বিভক্ত একটি হচ্ছে মানসিক শ্রম এবং অপরটি হচ্ছে শারীরিক শ্রম। শিক্ষক ডাক্তার বিজ্ঞানী সাংবাদিক অফিসের কর্মচারী শ্রেণীর মানুষ যে ধরনের শ্রম দিয়ে থাকেন তাকে মূলত বলা হয় মানসিক শ্রম।  

আরো পড়ুনঃ ফ্যাটি লিভারে কী খাবেন - ফ্যাটি লিভারে কী খাবেন না জেনে নিন বিস্তারিত

আবার কামার কুমার জেলে চাষা শ্রমিক তাঁতি  যে শ্রম দেয় সেটি মূলত হচ্ছে শারীরিক শ্রম। পেশা বা কাজের অনুসারে এক এক কাজের মানুষ একেক ধরনের শ্রম বা পরিশ্রম করে থাকে এবং মানসিক শ্রম বা শারীরিক শ্রম সেটি বড় কথা নয় কথা হচ্ছে এই দুটি মিলেই মূলত তৈরি হয়েছে মানব সভ্যতা।

শ্রমের প্রয়োজনীয়তাঃ মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ মূলত তার সৃষ্টিকর্তা এবং মানুষ চাইলেও তার পরিশ্রমের মাধ্যমে তার ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে তার ভাগ্য নির্ধারণ করা এবং স্বপ্ন পূরণ করা সবচেয়ে যেটি মূল বহি প্রকাশ পায় তা হচ্ছে তার শ্রম এবং শ্রমের প্রয়োজনীয়তা অতুলনীয় যার কোন বিকল্প নেই।

আর শ্রমের মাধ্যমে এ অন্যান্য দেশ যেমন করিয়া জাপান যুক্তরাষ্ট্র ইতালি এবং আরো ইত্যাদি অন্যান্য উন্নত দেশগুলো শুধুমাত্র শ্রমের মাধ্যমেই

এগিয়ে আছে তাদের কাছে শ্রমের প্রয়োজনীয়তা অতুলনীয়। যে জাতি যত শ্রম করে সে জাতি ততো বেশি উন্নত। তাই ব্যক্তিগত ও আর্থিক দিকে উন্নতি হতে হলে মানুষের শ্রমের প্রয়োজনীয়তার কোন বিকল্প নেই ।

শ্রমের মর্যাদাঃ মানুষ সৃষ্টিকর্তা স্বাধীন জন্ম থেকেই মানুষের জন্মদিন একটি খরচ আছে যে খরচটি নির্ভর করে একজন মানুষের শ্রমের

উপর তাছাড়া একটা মানুষ যদি বেকার হয় তাহলে তাকে সমাজে নানা কথার সমর্থন হতে হয় এবং নিজের জীবন ও ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য মানুষের পরিশ্রমী হতে হবে আর পরিশ্রমী হওয়ার জন্য সময়ের মর্যাদা কোনো বিকল্প নেই এবং একটি মানুষ

পরিশ্রমী ও উপার্জনশীল হবে তখন সেই মানুষটাকে সবাই অনেক মর্যাদা দিবে আর সেটিকে মূলত বলা হয়েছে শ্রমের মর্যাদা পরিশ্রম করে ভাগ্য পরিবর্তন ও নিজের দৈনন্দিন জীবনকে ভালো সভ্যতার পরিণত করে  যে মর্যাদা পাওয়া যায় তাকে মূলত শ্রমের মর্যাদা বলা যায়।  

পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রস্তুতি: পরিশ্রম আকাশ থেকে পড়ে না কিছু পেতে হলে কিছু অবদান রাখতে হয়। সেই জন্যই যদি আপনি জীবনে ভালো কিছু করতে চান তাহলে অবশ্যই একজন মানুষের পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই পরিশ্রমকে বলা যেতে পারে এক কথায় সৌভাগ্যের প্রস্তুতি।

সব মানুষের মধ্যে মূলত প্রতিভা আছে কিন্তু কেউ কেউ কাজে লাগায় আবার কেউ কেউ কাজে লাগে না অলসতার জন্য আমাদের প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে জীবনকে জাগ্রত করা যাবে জাগিয়ে তোলা যাবে। এই সব কিছুর জন্য পরিশ্রম এর প্রয়োজন আর একজন মানুষের সৌভাগ্যের জন্য পরিশ্রমের কোন দ্বিতীয় রূপ নেই পরিশ্রমী হলো সৌভাগ্যের প্রস্তুতি।

উপসংহারঃ পরিশ্রম শুধু সৌভাগ্য নিয়ন্ত্রক নয় সভ্যতারও বিকাশেরও সহায়ক। মানব সভ্যতা উন্নতি অগ্রগতির জন্য পরিশ্রমের কোন বিকল্প বা কোন দ্বিতীয় রূপ নেই। আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ নাগরিক সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন ও 

সাধনা আমাদের। তাই কোন প্রকার শ্রম থেকে আমাদের মুখ ফিরিয়ে থাকলে চলবে না আমাদের সবকিছুকে পরিশ্রম করে হাসিল করে নিতে হবে তাহলে একটি মানুষের জীবন ও ভাগ্য বদলাতে সহায়তা করবে। শ্রমের বিজয় রথে চরে আমাদের উন্নত সভ্যতার সিংহদারে পৌঁছাতে হবে তবে একটি মানুষের জীবন সফল ও শ্রমের মর্যাদার বহিঃপ্রকাশ ও ভাগ্য পরিবর্তন হবে।

স্বদেশ প্রেম রচনা

আপনার উদ্দেশ্য যদি হয় স্বদেশপ্রেম রচনা, তাহলে আজকের ওয়েবসাইটটি আপনার জন্য আজকের এই ওয়েবসাইটে আপনারা স্বদেশ প্রেম সংশ্লিষ্ট সবরকম তথ্য পেয়ে যাবেন। তো স্বদেশ প্রেম সংশ্লিষ্ট সবরকম তথ্য পেতে পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন

স্বদেশ প্রেম রচনা

মানুষ স্বাভাবিকভাবে তা জন্মস্থানকে অনেক ভালবেসে থাকে জন্মস্থানএর সাথে আলো বাতাস পশু পাখি সবুজ প্রকৃতির সাথে তার নিবিড় সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এবং প্রত্যেকটি মানুষেরই তার জন্মস্থান তার কাছে সোনার থেকেও দামি সেটি মূলত স্বদেশ প্রেম 

স্বদেশ প্রেমের সংজ্ঞার্থঃ স্বদেশপ্রেম অর্থ নিজের দেশের প্রতি ভাষার প্রতি নিজের মা মা বাবার জন্মস্থানের প্রতি ভালোবাসা ও আত্মপ্রকাশ।

স্বদেশপ্রেমের স্বরূপঃ স্বদেশ অর্থ নিজের দেশ আর স্বদেশকে সবাই তার মন প্রাণ থেকে ভালবাসে একজন মা-বাবাকে যেমন একটি সন্তান তার বিনা সাথে ভালবাসে তেমন একজন দেশের মানুষ তার  দেশমাত্রীকে বিনা স্বার্থে ভালোবাসা।প্রত্যেকটা মানুষই তার কথা এবং কাজে তার স্বদেশের প্রতি অতিরিক্ত ভালোবাসা প্রকাশ পায়। এ বোধ এবং চেতনা তার ভেতর এবং গভীর থেকে উৎসাহিত করে।তাই এডউইন আর্নল্ড বলেছিলেন জীবনকে আমি সত্যি ভালবাসি কিন্তু দেশের চেয়ে বেশি নয়।

দেশপ্রেমের অনুভূতিঃ দেশ থেকে দেশে দুর্নি বাই  আকর্ষণ থেকে শুরু হয় দেশ প্রেমের বহিঃপ্রকাশ। সব দেশের আকাশ চাঁদ সূর্য যদি এক হয়েও মানুষ তার জন্মস্থান অর্থাৎ দেশপ্রেমের প্রতি অনেক ধার্যশীল অর্থাৎ দেশ প্রেমের প্রতি একটি মানুষের ভালোবাসা অপরূপ দেশের অনুভূতি সবচেয়ে বেশি বিপন্ন হয় দেশের স্বাধীনতা কথা প্রকাশ পেলে সেই সময় মানুষ আগামী দিনগুলোকে স্মরণ করে দেশ প্রেমের অনুভূতি ও দেশপ্রেমের ভালোবাসা নিয়ে অনুষ্ঠান ও আয়োজিত করে স্বদেশ প্রেম রচনা পরবর্তী পয়েন্টে নিচে

ছাত্র জীবনে স্বদেশ প্রেমঃ ছাত্ররা অর্থাৎ যুবকরা দেশের বলা যায় প্রাণকেন্দ্র। দেশের উন্নতি ও দেশের আশা পূরণের আশ্রয়স্থল। তাই দেশের প্রতি ভালোবাসা ও প্রেরণা আমাদের ছাত্র জীবনে মনে জাগ্রত করতে হবে। এবং ছাত্রদেরকে যদি দেশের ওপর জাগ্রত করা যায় তাহলেই দেশ এর জন্য জীবন ও ভালোবাসা উৎসর্গ করে দিয়া যাবে। 

বাঙালির স্বদেশ প্রেমঃ আমাদের চারপাশ পৃথিবীতে যুগে যুগে অনেক দেশ প্রেম জন্মেছে তারা নিজের জীবনকে বিসর্গ দিয়ে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করে অমর হয়ে বেঁচে আছেন। প্রাচীন কাল থেকে এদেশে নানা বিদেশি শক্তি প্রভূক্ত বিস্তার চেষ্টা করছে। আর স্বদেশ প্রেমিক বাঙালি দেশের স্বাধীনতা ও সম্মান রক্ষার্থে আঁকাতড়ে প্রাণ রফিক জব্বার বরকতের আত্ম দান দেশের স্বাধীনতা রক্ষার্থে ও সাম্য রক্ষার্থে প্রাণকেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।  


১৯৭১ সালে এ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও প্রতিষ্ঠের মাধ্যমে আত্মদান করেছে অসংখ্য শিক্ষক শিক্ষার্থী কৃষক কৃষিকা সাংবাদিক বুদ্ধিজীবী মা বনসহ সাধারণ মানুষ। এখনো দেশের লক্ষ কোটি জননেতা এবং জনতা দেশের সামান্য ক্ষতির আকাঙ্ক্ষায় বজ্র কণ্ঠে গর্জে ওঠে এবং অন্যায়ের প্রবল দেয়াল হয়ে দাঁড়ায়।

স্বদেশপ্রেম ও বিশ্বপ্রেমঃ স্বদেশপ্রেমী মূলত বিশ্ব প্রেম কারণ বিশ্বের সব মানুষই পৃথিবী আমাকে ভূখণ্ডে অধিবাসী এবং এই ভূখণ্ডের বসবাস করে। কেউ কেউ যদি তার নিজের জন্মস্থান থেকে বাইরে থাকেও তার জন্মস্থানের প্রতি তার ভালোবাসা এক রকমে না এটুকু স্বদেশপ্রেম ও বিশ্বপ্রেম বলা হয়।

উপসংহারঃ দেশপ্রেম হচ্ছে একটি নিঃস্বার্থ ও নির্লোভ আত্ম অনুভূতি। প্রকৃত দেশপ্রেমের কাছে দেশের মঙ্গলই তার কাছে একমাত্র কাম্য। দেশের জন্য তারা নিজেকে উজাড় করে উৎসর্গ করে দিতে পারেন।  দেশের মানুষের সাথে সাত দিয়ে দেশকে আরও জাগ্রত করতে হবে। তবে স্বদেশ প্রেমের প্রতি জাগ্রত অনুপ্রেরণা প্রকাশ পাবে।

শেষ কথা 

প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা শ্রমের মর্যাদা রচনা - স্বদেশ প্রেম রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছি। যদি আমাদের পোস্টটি পরে আপনি উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই বন্ধুর মাঝে শেয়ার। এমন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। তো আজকে এ পর্যন্ত আবার ও দেখা হচ্ছে কোনো আর্টিকেল এর  সাথে ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url